














টাঙ্গাইলের নাগরপুরে পাঙ্গাস মাছ কেনাকে কেন্দ্র করে দাদার লাঠির আঘাতে নাতির মৃত্যু হয়েছে। নিহত রিফাত মিয়া (১৩) উপজেলার সহবতপুর ইউনিয়নের ইরতা পূর্বপাড়া গ্রামের রেজাউল মিয়ার ছেলে এবং সে সহবতপুর হাইস্কুলের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী।















বৃহস্পতিবার (৬ জানুয়ারি) ভোরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় নাগরপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে তার মৃত্যু হয়। এর আগে বুধবার (৫ জানুয়ারি) বিকেলে উপজেলার ইরতা পূর্বপাড়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।















স্থানীয়রা জানায়, রিফাতের বাবা স্থানীয় বাজার থেকে বড় একটি পাঙ্গাস মাছ কিনে বাড়িতে আসে। এ সময় তার মা বড় মাছ কেনা নিয়ে সংসারে অশান্তির হবে বলে জানায়। এ সময় রিফাতের মার কথাগুলো ছোট চাচি তার শ্বশুরকে জানায়।















এ নিয়ে রিফাতের দাদা ক্ষোভ প্রকাশ করে বড় মাছ কিনে আনার বিষয়ে প্রতিবাদ করলে তর্কাতর্কিসহ দাদা রাজ্জাক মিয়ার সঙ্গে সংঘর্ষ বাঁধে। এতে দাদার লাঠির আঘাতে রিফাত ও তার বাবা গুরুতর আহত হয়। পরে আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সেখান রিফাত মারা যায়।
নিহত রিফাতের বাবা রেজাউল আরটিভি নিউজকে জানায়, বাড়িতে ছুটিতে গিয়ে বড় একটি পাঙ্গাস মাছ কেনা হয় স্থানীয় বাজার থেকে। মাছটি বাড়িতে নেওয়ার পর সেটিকে কেন্দ্র করে বাবা, মা ও ছোট ভাইয়ের বউয়ের সঙ্গে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে মারামারি লেগে যায়। এতে ছেলে ও আমি আহত হই।
নাগরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. ফাতেমা তুজ জোহরা জানান, বিকেলে রিফাত ও রেজাউল নামের দুইজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে রিফাতের শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। কিন্তু তারা পুনরায় রিফাতকে নিয়ে নাগরপুর হাসপাতালে ফিরে আসে। এতে রাত ১টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রিফাত মারা যায়।
নাগরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সরকার আবদুল্লাহ আল মামুন আরটিভি নিউজকে বলেন, বৃহস্পতিবার সকালে খবর পেয়ে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। তবে এই বিষয়ে এখনও কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।